মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তাই যেসব পোশাক কারখানার মালিক এখনও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেননি, তাদেরকে যেকোনো পরিস্থিতিতে বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
পোশাক মালিকদের বড় দুটি সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) যৌথ ঘোষণায় এ আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার (১২এপ্রিল) সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এবং বিজিএমইর সভাপতি ড. রুবানা হক যৌথ ঘোষণায় বলেছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব এক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংগ্রাম করছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের শ্রমিক-কর্মচারী ভাইবোনেরাও তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, এ সংকটকালে আপনারা (পোশাক মালিক) শ্রমিকের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে সহযোগিতা করুন। অনেক স্থানে লকডাউন থাকলেও শ্রমিকদের বেতনের টাকা দেয়ার জন্য ২-৩ দিন কয়েক ঘণ্টা খোলা রেখে বেতনের টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
Advertisement
পোশাক কারখানার মালিকদের উদ্দেশে তারা বলেন, যারা এখনও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেননি, যেকোনো পরিস্থিতিতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করুন। একসঙ্গে সমবেত না করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপে ভাগ করে এবং সময় ভাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেতন পরিশোধ করুন।
তারা আরও বলেন, যারা এখনও শ্রমিকদের ব্যাংক বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট করতে পারেননি অতি দ্রুত তা সম্পন্ন করুন। এমএফএস প্রতিষ্ঠানসমূহ ‘নগদ’, ‘রকেট’ ও ‘বিকাশ’ শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খুলতে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সহযোগিতা নিন।
রফতানিমুখী পোশাক সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে সদস্যদের উদ্দেশে আরও বলা হয়, মনে রাখবেন ‘শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে, শিল্প থাকলে শ্রমিক বাঁচবে।’ আমরা জানি আপনারা শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট আছেন, তারপরও বলবো বিষয়টি অগ্রাধিকার দিন। শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হলে সরকারের দেয়া ঋণ সুবিধা পেতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পাবেন।
এসআই/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement