জাতীয়

৪০ শতাংশ বাস-মিনিবাস অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে

মহানগরীর প্রায় ৪০ শতাংশ বাস-মিনিবাস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে জানালেন খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যাত্রীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পরিবহন মালিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।বুধবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা জানান। মন্ত্রণালয়ের অধস্তন বিভাগ ও দফতরগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।কাদের বলেন, সম্প্রতি গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সরকার ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং ডিটিসিএ’র আওতাধীন গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলার বাস ও মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে প্রতি যাত্রী ১০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ন্যূনতম ভাড়া যথাক্রমে ৭ টাকা ও ৫ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।কিন্তু গত কয়েকদিনে আমি সরেজমিনে দেখেছি, অনেক পরিবহন পুনঃনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। অবাক করা বিষয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিআরটিসি’র কয়েকটি বাস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে আমার কাছে যাত্রীরা অভিযোগ করার পর আমি এর সত্যতা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও মোবাইল কোর্ট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।সেতুমন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, আমার ধারণা প্রায় ৪০ শতাংশ বাস-মিনিবাস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে আমি পরিবহন মালিকদের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি। বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টসমূহ প্রতিনিয়ত কাজ করছে। মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি আরো বলেন, আমরা এখন দু’টি প্রাধিকার চিহ্নিত করেছি। একটি হচ্ছে কোয়ালিটি ওয়ার্ক নিশ্চিত করা। অপরটি হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা। তবে অনেক ক্ষেত্রে মেরামত বা সংস্কারকাজের গুণগত মান বজায় রাখা হচ্ছে না। প্রায়শ কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছি। কোন কর্মকর্তা, প্রকৌশলী কিংবা ঠিকাদার ইচ্ছাকৃত গাফিলতি করলে তা সিরিয়াসলি দেখা হবে। ইতিমধ্যে নানান অজুহাতে কাজে দেরি করার জন্য যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে আমরা ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বা কর্ম এলাকার প্রকৌশলীরা এ থেকে ছাড় পাবেন না।অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সওজ’র প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেনসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এসএ/এআরএস/এমএস

Advertisement