কুমিল্লায় এবার বাবার পর তার ১২ বছরের মেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন।
Advertisement
সিভিল সার্জন বলেন, গত ৯ এপ্রিল জেলার তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি গ্রামের ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি ঢাকায় চালকলে কাজ করতেন। তারপর তার মেয়ের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এর আগে গত শনিবার তিতাসের মৌটুপি গ্রামের ৩৫ বছরের এক কুস্তিগিরও করোনায় আক্রান্ত হন। এ নিয়ে কুমিল্লায় সাতজন করোনায় আক্রান্ত হলেন।
অন্যরা হলেন জেলার বুড়িচংয়ের জিয়াপুর গ্রামের ব্যবসায়ীর চার বছর ও সাত বছরের দুই শিশুসন্তান এবং তার বড় বোন। ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার মায়ের মৃত্যুর পর পরিবার নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।
দেবিদ্বারে আক্রান্ত আরেক ব্যক্তিকে কুমিল্লা থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হলে কোনো হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে নারায়ণগঞ্জে মেয়ের বাসায় নেয়ার পথে শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বারের নবীয়াবাদের ঘরসহ পাশের আট বাসা লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া তার সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স চালক, হাসপাতালের দুই ট্রলিবয় ও পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে।
Advertisement
মো. কামাল উদ্দিন/এএম/এমএস