দেশে নতুন করে চার জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। জেলা চারটি হলো- লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও ঝালকাঠি।
Advertisement
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ চারটি জেলায় যারা নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা গত এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে সেখানে গেছেন।
রোববার (১২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরে করোনাভাইরাস নিয়ে অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ কারণেই আমরা বারবার সতর্ক করছি যে, এ সময় আপনারা কেউ ভ্রমণ করবেন না। এ সময় বাড়িতে থাকতে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
Advertisement
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ১৩৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
ডা. ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন মারা গেছেন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪ জনে। নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। এছাড়া যারা আগে থেকে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে আরও তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন।
বুলেটিনে বলা হয়, বর্তমানে সারাদেশে মোট ২০ হাজার ৫২৫ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯ হাজার ১১১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এক হাজার ৪১৪ জন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ। মারা গেছেন এক লাখ ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে চার লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
Advertisement
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১। মারা গেছেন ৩৪ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
এমইউ/বিএ/জেআইএম