বিশ্বে এখন সবচেয়ে বড় সঙ্কট করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৯ জন।
Advertisement
এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তবে এনিয়ে রাতদিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সাফল্যের দেখা এখনও মেলেনি। কতদিন নাগাদ এই ওষুধ পাওয়া যাবে, তাও বলতে পারছেন না গবেষকরা।
তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ‘হাইড্রোকুইনন’ নামে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকর হচ্ছে। আর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ বর্তমানে ভারত।
এই ওষুধের কার্যকারিতা জানতে পেরে গত ২৫ মার্চ ওই ওষুধের রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাধ্য হয় দেশটি। ইতোমধ্যেই বহু দেশ এই ওষুধের জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ওষুধের জন্য শুরু থেকেই ভারতকে চাপে রেখেছে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে হয়তো মনে হতে পারে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনই হয়তো করোনার জন্য একমাত্র কার্যকরী ওষুধ। তবে এই ভুল ভাঙলেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এই ওষুধের মারাত্মক পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এমনকি এটি হৃদরোগের ক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সের ওষুধ নিরাপত্তা সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ম্যালেরিয়ার ওষুধ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে কার্যকরী মনে হলেও এটি হার্টের সমস্যা আছে এমন রোগীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
চিকিৎসকের সার্বিক তত্ত্বাবধান ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। তারা আরও বলছেন যে, করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আসলেও সফল কীনা এটি এখনও প্রমাণিত হয়নি।
ইতোমধ্যেই এই ওষুধের জন্য ৩০টির বেশি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এরপরেই বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে ভারত। প্রথম দফায় এসব দেশকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/পিআর