গাজীপুরে পাঁচজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে রোববার (১২ এপ্রিল) ভোর থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তদের মধ্যে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ও তার অফিসের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে ১৩ জন রয়েছেন।
Advertisement
সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার গাজীপুর মহানগরীর চারজন ও কাপাসিয়ার এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। ওই পাঁচজনের মধ্যে তার অফিসের নাইটগার্ডও রয়েছেন। করোনা রোগীরা যাদের সংস্পর্শে আসেন তাদেরও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এজন্য তিনি ও তার অফিসের ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৫০ জনকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, শনিবার তার অফিসের নাইটগার্ডের নমুনা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অন্যান্য স্টাফদেরও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি সরকারি বাসাতে কোয়ারেন্টাইনে থেকেই কাজ করছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৯৪৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ৫৮৩ জন নির্দিষ্ট সময়ের পর কোয়ারেন্টাইন ছেড়ে চলে গেছেন। এ পর্যন্ত ৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে জেলা প্রশাসন গাজীপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/পিআর
Advertisement