দেশের আরও দুই টেলিভিশন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরা বেসরকারি দুই টেলিভিশনের সাংবাদিক। এ নিয়ে মোট ছয়জন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হলেন।
Advertisement
এই সাংবাদিকদের কেউ বাড়িতে এবং কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সংক্রমণের কারণে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শে মোট ১০০ সাংবাদিক-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে ৪৭ সংবাদকর্মীর কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে, এই সময়ে তাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ মেলেনি।
নতুন করে আক্রান্ত হওয়া দুই সাংবাদিকের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দেশে একের পর এক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
Advertisement
এই সংখ্যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত বলছেন সংশ্লিষ্টরা। গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের স্ব স্ব মিডিয়া হাউজ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী না দিয়েই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন চলাফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
গত ৩ এপ্রিল দেশের প্রথম সাংবাদিক হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক ক্যামেরাপারসন। গত ২৬ মার্চ তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়ায় তাকে সেদিনই ছুটি দেয়া হয়। এ ঘটনার পর তার সংস্পর্শে আসা আরও ৪৭ রিপোর্টার-ক্যামেরাপারসন ও কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। সেই ৪৭ জনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৯ এপ্রিল।
তবে ৯ এপ্রিল আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনের একজন রিপোর্টার ও তার শ্বশুর করোনায় আক্রান্ত হন। তার সংস্পর্শে আসা টেলিভিশনটির সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন, গাড়িচালকসহ অন্তত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়।
১০ এপ্রিল দুটি দৈনিকের দুজন সাংবাদিকের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর এই দুজনসহ প্রতিষ্ঠান দুটির অন্তত ২০ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
Advertisement
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের একজন সদস্য সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছি।’
এইচএস/এইচএ/এমআরএম