রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এ তহবিল থেকে নেয়া ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাব হবে না।
Advertisement
শনিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬(খ) এর (১) উপধারা’ পরিপালন থেকে সাধারণভাবে অব্যাহতি দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুয়ায়ী, কোনো ব্যাংক তার একজন গ্রাহককে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে মোট মূলধনের ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারে। আর রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দিতে পারে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ। তবে উভয় ক্ষেত্রে ফান্ডেড ঋণ দেয়া যায় ১৫ শতাংশ। এখন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্পখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে পাঁচ হাজার টাকার বিশেষ তহবিল থেকে নেয়া ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সীমা হিসাবায়নের বাইরে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ১২১ ধারার ক্ষমতাবলে তফসিলি ব্যাংকে আলোচ্য তহবিল হতে প্রদত্ত ঋণে একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ধারা ২৬(খ) এর উপধারা-১ এর বিধান পরিপালন হইতে সাধারণভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
Advertisement
এর আগে রফতানিমুখী এবং সচল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা তহবিল থেকে সহজশর্তে ঋণ সুবিধার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান সুদবিহীন সর্বোচ্চ দুই শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারবে।
তবে এ ঋণ দিয়ে শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারবে। কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে না। বেতন দেয়ার জন্য ওই ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমার হিসাবায়ন থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
এসআই/বিএ/এমকেএইচ
Advertisement