আন্তর্জাতিক

আমিরাতে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও চারজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৭৬

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৭৬৩ জনে। মৃত্যু হয়েছে চারজনের, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭০ জন।

Advertisement

শনিবার (১১ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মৃত চারজন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এর আগে ১৬ জনসহ মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ২০ জন। আর নতুন ১৭০ জনসহ ৫৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে আটকে যাওয়া আরব আমিরাতের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বিনামূল্যে ফ্লাইট ঘোষণা করে দেশটির সরকার।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এয়ারলাইন্স গ্রুপের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিনামূল্যে ফ্লাইট সম্পর্কে টুইটারে লেখেন, কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন দেশে থাকা আমিরাতের নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারেনি। তাই এ সপ্তাহ থেকে বিনামূল্যে বিশেষ বিমান ফ্লাইট ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

মহামারি করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ইউরোপে। যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো মানুষ করোনায় মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও করোনার কেন্দ্র এখন ইউরোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এরপরের কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র।

আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার বেশিরভাগই ইরানে। তবে দেশটির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে।

শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশগুলোর একটি ইরান। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্পিকার, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্মীয় নেতা ও আইনপ্রণেতা ছাড়াও অনেক হাই প্রোফাইল নেতা প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে উহানে আবির্ভূত করোনা ভাইরাস চীন, ইরানের পর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। স্পেনেও কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে, এই সংখ্যা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ১৫ হাজার।

Advertisement

কেবল আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা নয়, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অর্থনীতি ১৯৩০ সালের মহামন্দা পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা গিওর্গিভা সতর্ক করেন।

এমআরএম/পিআর