বন্দি জীবন যেন অসহ্য ঠেকছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। হয়তো ভেবেছিলেন, আমি এত বড় ফুটবল তারকা, আমার জন্য কি আর ওমন বাধ্যবোধকতা আছে নাকি? লকডাউন ভেঙে লুকিয়ে অনুশীলনে চলে গিয়েছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজ। সেই ছবি প্রকাশ হতেই পড়লেন সমালোচনায়।
Advertisement
করোনাভাইরাসের আক্রমণের পর জুভেন্টাস সুপারস্টার ইতালি ছেড়ে নিজ দেশ পর্তুগালে ফিরে এসেছেন। মাদেইরাতে এসে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনেও ছিলেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! অবশেষে ট্রেনিং করতে চলে গেলেন মাদেইরার জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে।
কিন্তু পর্তুগালে তো এখনও লকডাউন তুলে নেয়নি সরকার। ৩৫ বছর বয়সী রোনালদোকে তাই কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন মাদেইরার প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেদ্রো রামোস।
রোনালদো বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বলেই ছাড় দেয়া হবে, এমনটা নয়- জানিয়ে পেদ্রো রামোস বলেন, ‘রোনালদোর অনুশীলনের জন্য বিশেষ কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। তার অনুশীলন করার অধিকার আছে যতক্ষণ পর্যন্ত সকল নাগরিকের মতো তিনি আইন মেনে চলবেন। তার জন্য আলাদা কোনো সুবিধার ব্যাপার নেই।’
Advertisement
ফানচলের মাদেইরা স্টেডিয়ামে অবশ্য অনুশীলনের সময়টায় দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন রোনালদো। মাত্র কয়েকজন ছিলেন অনুশীলনের সময়ে। একজন গোলরক্ষকও ছিলেন, জুভেন্টাস তারকাকে কয়েকটি শট নিতে দেখা যায়। পেদ্রো রামোস মনে করছেন, রোনালদো যতটুকু সময় যেভাবে অনুশীলন করেছেন, সেটি খুব বেশি দোষের কিছু নয়। তবে তার মতো বড় একজন তারকা বাড়ি থেকে বের না হলেই ভালো উদাহরণ হতো, এমন মত মাদেইরার প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, ‘সকল নাগরিকই বাড়ি থেকে বেরিয়ে টুকটাক ব্যায়াম করতে পারেন, যদি ভিড় না হয় এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। রোনালদো এতটুকুই করেছে আমরা দেখেছি।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে কারও জন্য বিশেষ ক্ষমতার ব্যাপার নেই। আমরা সবাই সমান, সবাই একই মহামারিকে মোকাবেলা করছি। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের উচিত তার ভাবমূর্তিকে উদাহরণ হিসেবে রাখা। আমার কাছে মনে হয়েছে, রোনালদো মাত্র কয়েক মিনিট অনুশীলন করেছে, এতে ক্ষতিকর কিছু হয়নি।’
‘মাদেইরার সকল বাসিন্দাকেই সরকারের নিয়ম মানতে হবে। আর যারা এটা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
Advertisement
বোঝাই যাচ্ছে, রোনালদোকে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখা হলো প্রশাসন থেকে। ভবিষ্যতে আবারও অনুশীলনে নামলে নিয়মের কথা দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে জুভেন্টাস সুপারস্টারকে।
এমএমআর/পিআর