করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীতে আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছেন দুজন। তারা দুজনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Advertisement
এদের একজনের বাড়ি রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকায়। অপরজন এসেছেন পাবনা থেকে। পাবনা থেকে আসা ছাত্র ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। আর নওদাপাড়া এলাকা থেকে এসে ভর্তি হওয়া ব্যক্তি ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসার কাজে ঢাকার মিরপুর এলাকায় গিয়েছিলেন।
শনিবার (১১ এপ্রিল) করোনা নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালে গঠিত চিকিৎসা টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ।
তিনি বলেন, ঢাকার মিরপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগী পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। সে কারণে দুজনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কারণ তারা দুজনই ওই এলাকায় ছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলেও পাবনার ছাত্রের জ্বর কিছুটা কমেছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
Advertisement
এদিকে, রামেক করোনা পরীক্ষাগারে এ পর্যন্ত ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে রাজশাহী বিভাগের কোনো ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়নি। সবার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।
ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, গত ১ এপ্রিল রামেকে ল্যাব চালু হয়। এরপর ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর বাইরে রাজশাহী বিভাগের কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, শনিবার ল্যাবে ১১৩ জনের নমুনা এসেছে। এর মধ্যে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ল্যাবে একসঙ্গে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। বাকি যে নমুনাগুলো রয়েছে সেগুলো রোববার পরীক্ষা করা হবে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক চলছে। হাসপাতালে ৫৬৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৯৩ জন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ৭৬টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
Advertisement
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম