চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব অমান্য করা ও নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৯টি মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব মামলায় মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
Advertisement
শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসব অভিযান পরিচালনা করেন। জাগো নিউজকে এসব বিষয়ে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় শিফটে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারি রোখার চেষ্টায় অফিস-আদালত বন্ধ রেখে ঘরে থাকার মেয়াদ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর বাইরে বের হতেও নিষেধ করেছে সরকার। সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’
তৌহিদুল ইসলাম জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ বাস্তবায়নে নগরীর বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, খুলশী, চান্দগাঁও এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান। তিনি বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ায় এবং সরকারি আদেশ অমান্য করে অপ্রয়োজনীয় দোকান ও প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করার দায়ে পাঁচজনকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন।
Advertisement
এদিকে নগরের বায়েজিদ, সদরঘাট, কোতোয়ালী ও চকবাজার এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিতকরণ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অমান্য করায় তিনি ছয়জনকে ছয় হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
একই সময়ে নগরের ডবলমুরিং, বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও বাজারে করোনাভাইরাসজনিত প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, বাজার মনিটরিং ও সেনাবাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা প্রদানের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন।
তিনি সামাজিক দূরত্ব না মেনে হার্ডওয়ার ও ইলেকট্রনিক্স পণের দোকান, টেইলার্স খোলা থাকায় পাঁচটি পৃথক মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া নগরের পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সরকারি আদেশ অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসায় ১৩ জনকে দুই হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম