সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সেই চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা পাঁচ সেবক-সেবিকাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা গত পাঁচদিন ধরে কোয়ারেন্টাইন নীতিমালা মেনে চলছেন। শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।
Advertisement
তিনি বলেন, সিলেটে করোনায় আক্রান্ত সেই চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা দুজন নার্স ও তিনজন ব্রাদারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা আক্রান্ত নন, তবুও নিরাপত্তার স্বার্থে কোয়ারেন্টাইন নীতিমালা পালন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা গত পাঁচদিন ধরে তা মেনে চলছেন। এদিকে সিলেটে করোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের পরিবার থেকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বাসস্থান পরিবর্তনের এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, সিলেট নগরে একটি আবাসিক হোটেল ভাড়া করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনার চিকিৎসাসেবায় সংশ্লিষ্টরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ি না গিয়ে সেখানে বিশ্রাম নেবেন। পরে সেখান থেকেই আবার কর্মস্থলে যাবেন। এমন ব্যবস্থা সিলেটে শিগগিরই করা হচ্ছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দানকারী চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের ভিন্ন জায়গায় অবস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সিলেটেও এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
এছাড়াও সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাজ চলছে। সিলেট বিভাগের কেউ যদি নিজের মধ্যে করোনার উপসর্গগুলো অনুভব করেন, কিংবা উপসর্গ তার মধ্যে দেখা দেয় তবে করোনা পরীক্ষার জন্য ০৮২১-৭১৩৬৬৭ এ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ নম্বরটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, যদি কারও মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে তবে ১৬২৬৩ ও ৩৩৩ নম্বরেও ফোন করতে পারবেন।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস
Advertisement