শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ধরেছে সজনে লতা। এখনো পুরোপুরি খাবারের যোগ্য না হলেও বাজারে এসেছে গ্রীষ্মের সুস্বাদু সবজি সজনে। তবে দাম বেশি বলেই মনে করছেন ক্রেতারা। ১ কেজি সজনে প্রায় ১৫০ টাকা।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং, শৈলজুড়া, বাছিরগঞ্জ এলাকায় রয়েছে ভরপুর সজনে। একসময়ের ফেলনা হিসেবে পরিচিত এ সজনে এখন অনেক মানুষের পছন্দের সবজি। এখন ১ কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা।
নতুন সবজি হিসেবে মানুষ আগ্রহ ভরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দাম শুনে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। তবে বিত্তশালীরা চড়া দামে কিনে নিচ্ছেন। ডাক্তার অমিতাভ দাশ বলেন, ‘সজনেতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। সজনের ফুল, ফল, পাতা, ছাল খুবই উপকারী মানব দেহের জন্য।’
প্রবীণ ব্যক্তি হাজি আব্দুল হেকিম বলেন, ‘আমরা সাজনাকে ওষুধি সবজি হিসেবে চিনি। ঠান্ডা লাগলে সাজনার ছালের ভর্তা বানিয়ে গরম ভাতের সাথে রোগীকে খেতে দেওয়া হয়। সাজনার ফুলের ভর্তা বানিয়েও খাওয়া যায়। গ্রামে বসন্ত রোগের প্রাদুুর্ভাব দেখা দিলে সাজনা ও দেশি আলুর ঝোল খাওয়ানো হতো।’
Advertisement
আশির দশকেও বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তালিকায় সবজি সজনের নাম ছিল না। সজনে ছিল গৌণ বা ফেলনা সবজি। গত আড়াই দশকে সজনের কদর বেড়েছে বহুগুণ। সাথে দামও বেড়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সজনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে প্রশিক্ষণ দরকার। গাছ সম্পর্কেও ধারণা নিতে হবে কৃষকদের। এর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করলে লাভবান হওয়া যাবে সহজেই।’
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসইউ/পিআর
Advertisement