দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত

মুন্সিগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে- মুন্সিগঞ্জ সদর, গজারিয়া, সিরাজদিখান, শ্রীনগর এবং টঙ্গীবাড়ি। শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে আইইডিসিআর থেকে মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Advertisement

আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার একজন, সিরাজদিখানে একজন। গজারিয়ায় তিনজন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার চারজন ও শ্রীনগর উপজেলার একজন রয়েছেন।

গত ৭ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার জন্য ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮ এপ্রিল তাদের নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ১০ জনের করোনা রিপোর্ট পটিটিভ এসেছে।

ইতোমধ্যে আইইডিসিআর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। গজারিয়ার আক্রান্তরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) এবং অপর দুইজন। ইতোমধ্যে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেকমোকে ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে । অপর আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। আক্রান্ত সেকমোর সঙ্গে যারা ডিউটি করেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, গত ৭ এপ্রিল উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর গ্রামের ৬০ বছরের এক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের পর থেকে ওই ব্যক্তিকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন বণিক জানান, করোনা পজিটিভ দুইজনের নমুনা মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। যদিও একজনের বাড়ি টঙ্গীবাড়ি উপজেলায়। তিনি মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। দুইজনের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তারা বাড়িতেই আছেন।

মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এদের অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জের লিঙ্কে সংক্রমিত এবং টঙ্গীবাড়ির একটি কেস ঢাকার মিরপুরের। করোনা পজিটিভ পাওয়া সবার সঙ্গেই আইইডিসিআর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। আক্রান্ত ১০ জনের শারীরিক অবস্থা এখনও গুরুতর নয়।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে গজারিয়ার তিনজনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। অন্যদের বাসায় ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ না হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আমাদের হাসপাতালগুলোতে রয়েছে।

Advertisement

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/আরএআর/এমএস