করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইবেন তিনি।
Advertisement
শনিবার সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই বৈঠকে যোগ দেবেন ভারতের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়েই আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত নিয়েই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান মোদি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর মতো অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও লকডাউনের মেয়ায় বাড়ানোর পক্ষপাতি। শুক্রবার ওড়িশা ও পাঞ্জাব তাদের নিজেদের রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। ওড়িশায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। পাঞ্জাবে লকডাউন চলবে ১ মে পর্যন্ত। এছাড়াও রাজস্থান এবং ছত্তীসগড়েও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।
এর আর আগে গত ২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে লকডাউন কীভাবে তোলা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন মোদি। কেরালার বামপন্থি সরকারের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ ছিল তিন দফায় লকডাউন তোলা হোক।
Advertisement
ওই সুপারিশ অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল শুধু সেসব জেলাতেই লকডাউন তোলা হোক যেখানে ৭ এপ্রিলের পর থেকে একটিও নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েনি বা সেসব জায়গায় কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রীও মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে এবং বিভিন্ন দলের সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে লকডাউন ধাপে ধাপে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা করবেন। দেশের করোনা হটস্পট গুলো খোঁজার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোতে লকডাউন আইন আরও কঠোর করা হবে।
ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১০টি জায়গায় সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথা ভাবা হচ্ছে। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা একথা জানিয়েছেন।
টিটিএন/এমএস
Advertisement