যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে একদিনে আরও ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আরও আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৪ জন। স্থানীয় প্রশাসনের এক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
ফলে ওই শহরে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪০৯ জন এবং মোট প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ৪২৯ জনের। আগের দিন ওই শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫২১ জন। অপরদিকে মারা গেছে ৫১৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এখন পর্যন্ত ওই অঙ্গরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারও অনেক পরে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে। প্রথমদিকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকলেও এখন পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ায় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার কেন্দ্রস্থল বলা হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে, নিউইয়র্কে মৃত্যুে সংখ্যা বাড়তে থাকায় মৃতদেহগুলো গণকবর দেওয়া হচ্ছে। নিউইয়র্কের হার্ট আইল্যান্ড গত দেড়শ বছর ধরেই গণকবরের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ড্রোনে তোলা ছবিতে সেখানে বেশ কিছু কফিন দেখা গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের, এমন সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর এই জায়গায় গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। আগে যেখানে সপ্তাহে একদিন হয়তো পরিচয়বিহীন কোনো মরেদহ সৎকার করা হতো। এখন সেখানে সপ্তাহে পাঁচদিন খনন কাজ চলছে।
সাধারণত রিকার্স আইল্যান্ডের কারবন্দিদের দিয়ে কবর খোঁড়ানো হয়। কিন্তু এখন যেহেতু অনেক বেশি কবর খুঁড়তে হচ্ছে, তাই এই কাজ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারদের।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২ হাজার ৮৭৬। করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৭ জন। অপরদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হযে উঠেছে ২৭ হাজার ৩১৪ জন এবং ১০ হাজার ৯১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
টিটিএন/এমএস