দিন যত যাচ্ছে, ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে। মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে একের পর এক। এক একটি দিন পার হচ্ছে, আর নতুন দিনটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনটিকে। করোনাভাইরাসের কারণে আজও ব্রিটেনজুড়ে তৈরি হয়েছে লাশের মিছিল। আজও মৃত্যু হয়েছে ৯৩৮জন। এরে মধ্যে ইংল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে ৮৬৬ জন। বাকি ৮৭জনের মৃত্যু হয়েছে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে।
Advertisement
বুধবার ছিল যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর দিন। ওইদিন মোট ৯৩৮জন মৃত্যু বরণ করেছিল। এবার সেই সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেলো আজকের (শুক্রবার) মৃত্যুর সংখা। ডেইলি মেইল জানিয়েছে এ তথ্য।
শুধু তাই নয়, একদিনে মৃত্যুর হিসেবে স্পেন এবং ইতালির রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেলো গ্রেট ব্রিটেন। ইতালিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯১৯ এবং স্পেনে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে ৯৫০ জনের। এবার যুক্তরাজ্য ছাড়িয়ে গেলো তাদেরকে। আর একদিনে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৫১৯৫ জন।
৯৫৩জনকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি (৮৯৩১জন)। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৮৮১ জন। বৃহস্পতিবার বলা হচ্ছিল, আগেরদিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু আজ শুক্রবারই তৈরি হলো মৃত্যুর দিক থেকে সবচেয়ে অন্ধকারতম দিন।
Advertisement
যদিও ব্রিটেনের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের পক্ষ থেকে এই সংখ্যার বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। তবে বৃটিশ মিডিয়া এরই মধ্যে দিনের (সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার) হিসেব বের করে ফেলেছে।
আজই ব্রিটেনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, গত ২৩ মার্চ ঘোষণা দেয়ার পর থেকে লকডাউন এখনও চলছে এবং সামনে কোন সময়ে গিয়ে লকডাউন তোলা যাবে তা, নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই।
ডাইনিং স্ট্রিটের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে ব্রিটেনের পুলিশকে লকডাউনে জনসাধারণ যাতে ঘরের মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করার জন্য আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৩ তারিখ থেকে চলমান লকডাউনের ফল খুব দ্রুতই হয়তো দেখা যাবে। কিন্তু সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সদস্যদরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, চলমান পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
Advertisement
আইএইচএস/