করোনার প্রভাবে সবকিছু বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজারো মানুষ। পাহাড়ের মানুষ আছেন নানা কষ্টে। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কষ্টে জীবনযাপন করছেন পাহাড়ের হতদরিদ্ররা।
Advertisement
এ অবস্থায় ত্রাণ বিতরণ করছে জেলা প্রশাসন। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখতে ও জনসমাগম এড়াতে হচ্ছে প্রশাসনকে। তাই রাতে আঁধারে খেটে-খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশিদ।
পার্বত্য এই জেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রাঙাপানি লুম্বিনী পাড়া, সাধনাবিহার, যুবউন্নয়ন এলাকা ও ভেদভেদী আনসার ক্যাম্প এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন ডিসি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসলাম উদ্দিন।
Advertisement
ডিসি একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা এ পর্যন্ত জেলা শহরসহ ১০ উপজেলায় ৩০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। আমাদের ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম থেকে কোনো শ্রমিক, ভিক্ষুক, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ বাদ পড়বে না। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেব। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্রাণ সহায়তার জন্য কমিটি করা রয়েছে। কেউ যেন একাধিকবার ত্রাণ সহায়তা না পায় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।
রাতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, আমরা দিনের বেলাতেও ত্রাণ বিতরণ করেছি। কিন্তু দিনের বেলায় লক্ষ্য করা যায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের কথা শুনে এলাকায় মানুষের উপস্থিতিতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় থাকে না। এ অবস্থায় রাতের বেলায় ত্রাণ সহায়তা দিতে জনসমাগম হয় না। এতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধ্যবিত্ত এবং যারা সবার সামনে ত্রাণ নিতে লজ্জাবোধ করেন তাদের জন্য কটি অনলাইন ফরম তৈরি করা হয়েছে। ফরম পূরণ করে দিলে ওই ঠিকানায় চলে যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী।
সাইফুল/এএম/পিআর
Advertisement