করোনা উপসর্গ নিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যাওয়া গৃহবধূ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। মৃত নারীর নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল নেগেটিভ আসে। শুক্রবার রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এদিকে ওই গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া একজন ডাক্তার ও তিনজন নার্সকে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া মৃতদেহ বহন করা অ্যাম্বুলেন্সের চালককেও স্থানীয় প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
কুমুদিনী হাসপাতাল সূত্র জানান, গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) করোনা উপসর্গ নিয়ে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার স্বামী তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা সদরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বামী তাকে ঢাকায় না নিয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় অংশ নেয়া কুমুদিনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের ১৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং অ্যাম্বুলেন্স চালককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। পরে তারা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।
Advertisement
নমুনা পরীক্ষা করা হলে শুক্রবার ফলাফল নেগেটিভ আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়।
ওই গৃহবধূর স্বামী একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত। তিনি কালিয়াকৈরে চাকরি করেন বলে জানা গেছে। বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের কালামপুর গ্রামে।
কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে কালিয়াকৈর এলাকা থেকে এক গহবধূকে কুমুদিনী হাসপাতালে আনা হয়। কুমুদিনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে থাকা ডাক্তার ও নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করলে রোগীকে মৃত দেখতে পান। পরে তার স্বামী অ্যাম্বুলেন্সযোগে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যান। রোগীটি করোনা উপসর্গ নিয়ে আসায় চিকিৎসক ও নার্সদের ১৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এস এম এরশাদ/এমএএস/জেআইএম
Advertisement