করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা মৃতের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বহুগুন। দেশে দেশে লকডাউন। মানুষ ঘরবন্দী। খেটেখাওয়া মানুষরা পড়ে গেছে মহা বিপাকে। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই হলো মূল কাজ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য অর্থ সংগ্রহে একটি ভারত-পাকিস্তান সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানে স্পিডস্টার শোয়েব আখতার।
Advertisement
তার মতে, এই সময়ে তিন ম্যাচের একটি সিরিজ আয়োজন করা গেলে, বিশাল পরিমাণে টিভি দর্শক পাওয়া যাবে এবং আয়ও হবে প্রচুর। এই অর্থ দুই দেশের সরকারের করোনা তহবিলে সমানভাগে ভাগ করে দেয়া যেতে পারে।
শোয়েব আখতারের এই প্রস্তাবে দুই দেশের বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও সাবেক ক্রিকেটাররা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ভারতের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব, পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জহির আব্বাসের পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মদন লাল।
জহির আব্বাসের কাছ থেকে মোটামুটি ভদ্রোচিত আচরণ পেয়েছেন শোয়েব আখতার। নিজ দেশের এই পূর্বসূরি বলে দিয়েছেন, ‘এটা (ভারত-পাকিস্তান সিরিজ) আর কখনো হবে বলে মনে হয় না।’ কিছুটা কড়া ভাষায় কথা বলেছেন ভারতের কপিল দেব। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের টাকার প্রয়োজন নেই যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলতে হবে।’
Advertisement
তবে সবচেয়ে বাজে ভাষায় শোয়েব আখতারকে জবাব দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মদন লাল। অনেকটা ক্ষেপাটে আচরণ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সিরিজ হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে দুই দেশের সরকার। এ নিয়ে শোয়েব আখতার দাবি তোলার কে?’
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে ভারতের সাবেক পেসার মদন লাল বলেন, ‘এটা হচ্ছে (ভারত-পাকিস্তান সিরিজ) সরকারের বিষয়। এ সিদ্ধান্ত শোয়েব আখতারের বিষয় নয়। এটা নির্ভর করে সরকার টু সরকার। তারাই প্রয়োজন হলে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
একই সঙ্গে মদন লাল যোগ করেন, ‘এর আগেও দেখেছি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার চিন্তা-ভাবনা করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার তুলে দেয়া হয়েছিল ভারত সরকারের হাতে যে, তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে কি খেলবে না, সে বিষয়ে।’
১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের এই সদস্য বলেন, ‘এ সময়ে সব কিছু বন্ধ। আমরা সবাই লড়াই করছি করোনা ভাইরাসের বিপক্ষে। আগামী কয়েকমাস সম্ভবত কিছুই আর অনুষ্ঠিত হবে না। করোনাভাইরাস চলে যাওয়ার পরই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে কি খেলবে না। অথচ, এখন সব কিছুই লকড। এখন এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত কিভাবে নেবে দুই দেশের সরকার?’
Advertisement
আইএইচএস/