করোনাভাইরাসের প্রভাব আর বৈরী আবহাওয়ায় ঝালকাঠির তরমুজ এবং বাঙ্গি চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। জেলার তরমুজ ও বাঙ্গি চাষিরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এখন আসল টাকা পরিশোধ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তারা।
Advertisement
জানা যায়, ফসল বাজারজাত করতে না পারায় পাইকারও আসছেন না ক্ষেতে। এর মধ্যে আবার রোববার দুপুরের ঘণ্টাব্যাপী শিলাবৃষ্টিতে বাড়তি বেদনা যোগ হয়েছে। তাই ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ ও বাঙ্গি। ধার-দেনা করে পুঁজি খাটিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ১৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ৪১ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪ হেক্টরে তরমুজ ও ৪ হেক্টরে বাঙ্গি, নলছিটিতে ৫ হেক্টরে তরমুজ ও ৭ হেক্টরে বাঙ্গি, রাজাপুরে ৭ হেক্টরে তরমুজ ও ২০ হেক্টরে বাঙ্গি, কাঠালিয়ায় তরমুজের চাষ না হলেও ১০ হেক্টরে বাঙ্গির চাষ করা হয়েছে।
তরমুজ চাষি সাদ্দাম হোসেন জানান, সব মিলিয়ে তার প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যে তরমুজ ধরেছে, সেগুলো বিক্রির উপযোগী হতেই করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশ অচল হয়ে পড়েছে। বিক্রির সুযোগ নেই। খেতের তরমুজ খেতেই নষ্ট হচ্ছে।
Advertisement
আরেক চাষি লাল মিয়া তরমুজ চাষ করেছেন। তবে ১ টাকার তরমুজও বিক্রি করতে পারেননি বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একই অবস্থা অন্য চাষিরও।
রাজাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজুল্লাহ বাহাদুর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে সরবরাহ করতে না পারায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। সরকারি প্রণোদনার ব্যবস্থা হলে যথানিয়মে প্রকৃত চাষিদের দেওয়া হবে।’
মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/এমএস
Advertisement