জাতীয়

সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করা উচিত হয়নি

অষ্টম বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। পুরনো পদ্ধতি থাকলেই চাকরিজীবীরা লাভবান হবেন। নতুন বেতন কাঠামোতে তা বাতিল করে যে সুবিধার ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সচিবালয় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের এক কর্মকর্তা বলেন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ কমিটিকে হিসাবসহ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। আমরা যে হিসাব দিয়েছি অর্থমন্ত্রী সে হিসাব যাচাই করে দেখতে পারেন। অর্থমন্ত্রীর সুবিধার জন্যই আমরা এসব তথ্য প্রদান করেছি। পাশাপাশি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমরা সাক্ষাতের সময় চেয়েছি মন্ত্রীর কাছে। এখন কমিটি এসব তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পারবে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নতুন পে-স্কেলে বছরে পাঁচ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধিতে ২০৩০ সালে গিয়ে সর্বনিম্ন গ্রেডের (২০) একজন কর্মচারীর বেতন ৮২৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৭ হাজার ১৫১ টাকা। কিন্তু সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রাখা হলে কোনো পদোন্নতি ছাড়াই একই সময়ে সর্বনিম্ন গ্রেডের কর্মচারীর বেতন দাঁড়াবে ২৪ হাজার ৭৬৩ টাকা।প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অষ্টম বেতন কাঠামোতে গড়ে ৯৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়লেও সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেয়ার কারণে তা অধিকাংশ চাকরিজীবীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। জেডএইচ/এআরএস/এমএস

Advertisement