খেলাধুলা

শচিন-দ্রাবিড়ের এ কেমন অদ্ভুত মিল!

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। যেখানে প্রায়ই ঘটে কাকতালীয় সব বিষয়। যা কি না চক্ষু ছানাবড়া করে দেয় ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে বড় বড় বিশ্লেষকদেরও। ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহাসিক কাকতালের শুরুটা ইতিহাসের প্রথম ম্যাচ থেকেই।

Advertisement

১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। যেখানে ৪৫ রানে জেতে স্বাগতিকরা। সেই ম্যাচের ১০০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ১২ মার্চ আবারও এমসিজিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। সে ম্যাচেও ঠিক ৪৫ রানের ব্যবধানেই জেতে অসিরা।

এটিকেই ধরা হয় ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে। তবে এরকম বা এর চেয়েও অবাক করা কাকতাল অনেক ঘটেছে ক্রিকেটে। যেমনটা হয়েছে ভারতের দুই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেনডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়ের মধ্যে।

প্রায় ১৬ বছর দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন দ্রাবিড় আর শচিনের ১০০ সেঞ্চুরির প্রথমটা হয়েছিল এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। এটি কোন কাকতাল নয়, মূল রহস্য রয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুজনের পারফরম্যান্স-পরিসংখ্যানে।

Advertisement

ক্রিকেটের অন্যতম প্রাচীন দলটির বিপক্ষে টেস্টে সমান ৭টি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শচিন ও দ্রাবিড়। এই ৭ সেঞ্চুরির ইনিংসে তাদের দুজনেরই মোট ৯৮২, দুজনই অপরাজিত ছিলেন ২টি করে ইনিংসে। ফলে ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্টে শচিন-দ্রাবিড়ের গড় ১৯৬.৪! অদ্ভুত কাকতালই বটে।

১৯৯০ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন শচিন। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৬ নম্বরে নেমে সেদিন ১৮৯ বলে করেন অপরাজিত ১১৯ রান। এরপরের ছয় সেঞ্চুরিতে তার ইনিংসগুলো ছিল যথাক্রমে ১৬৫, ১২২, ১৬৭, ১০৩, ১৯৩ ও ১০৩*; অর্থাৎ অন্তত তিনবার খুব কাছে গিয়েও ইংলিশদের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি শচিন।

তবে দ্রাবিড় এখানে ব্যতিক্রম। ২০০২ সালের আগস্টে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন দ্রাবিড়। সেদিন তার ব্যাট থেকে আসে ১১৫ রানের ইনিংস। পরের ছয় সেঞ্চুরি তিনি করেন যথাক্রমে ১৪৮, ২১৭, ১৩৬, ১০৩*, ১১৭ ও ১৪৬*।

শচিন যেখানে তিনবার কাছে গিয়েও ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি, সেখানে দ্রাবিড় আটকা পড়েছেন দেড়শর সামনে গিয়ে। দুজনের মধ্যে আরেকটি মিল হলো, শচিন-দ্রাবিড় দুজনই ইংলিশদের বিপক্ষে নিজেদের শেষ শত রানের ইনিংসে অপরাজিতই ছিলেন শেষপর্যন্ত।

Advertisement

এসএএস/এমএস