করোনা প্রতিরোধে গেল ২৪ মার্চ থেকে শরীয়তপুরে গণপরিবহন ও যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর পরপরই আসে সরকারি ঘোষণা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গত কয়েক দিন থেকে অভ্যন্তরীণ সড়কে অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান চলাচলের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
Advertisement
সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটের দায়ে প্রায় প্রতিদিনই কিছু কিছু অটোরিকশা ও রিকশাচালক গাড়ি নিয়ে সড়কে বের হন। তাদের ঘরমুখী করতে ভিন্ন এক পদক্ষেপ নিয়েছেন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই সড়কে বেরিয়ে পড়েন থানা পুলিশের সদস্যরা। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রিকশা ও অটোরিকশা মিলিয়ে ৮০ জনকে গাড়িসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে গাড়ি জমা রেখে প্রত্যেকের হাতে ৫ দিনের খাবার তুলে দেন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। পাঁচ দিনের খাবার ফুরিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আবার খাবার নিতে আসতে বলা হয়েছে ওই চালকদের।
Advertisement
এখন থেকে সড়কে নয় থানায় গাড়ি জমা রাখলেই মিলবে প্রথমে পাঁচ দিনের করে খাবার। যার মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি ডাল, সাবান ও পেঁয়াজ।
অটোচালক আলমগীর সরদার বলেন, সকালে ওসি স্যার আমাগো গাড়ি থানায় নিয়া গেছে। পরে গাড়ি জমা রাইখা আমাগো ত্রাণের প্যাকেট হাতে তুইলা দিছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়া প্যাটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হইতাম। অহন ৫ দিনের খাবার দিছে পরে আবার যোগাযোগ করতে কইছে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি নিয়ে বের হয়। তারা খেটে খাওয়া মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে একমুঠো খাবারের জন্য তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হয়। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এ ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা ঘরে থাকে। নিরাপদে থাকতে পারে।
ছগির হোসেন/এমএএস/এমকেএইচ
Advertisement