খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে দুই সপ্তাহ ধরে কর্মহীন রংমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর। হাতে কোনো টাকা নেই। ফলে গত তিনদিন ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে আছেন তিনি।
Advertisement
তার খাদ্য সঙ্কটের কথা জেনে এক আত্মীয় ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সঙ্কটের কথা জানানোর পরামর্শ দেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যেখানে খাদ্যসামগ্রী দেননি সেখানে ফোন করে খাদ্যসামগ্রী পাবেন বিশ্বাস করতে পারেননি জাহাঙ্গীর। এরপরও নিরুপায় হয়ে খাবার চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেন তিনি।
৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে নিজের করুণ অবস্থার কথা জানিয়ে খাদ্য সহায়তা চাইলে তাৎক্ষণিক ৩৩৩ কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন আসে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশের কাছে। মুহূর্তেই তিনি ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে ফোন দেন। এক ঘণ্টার মধ্যেইবৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে মাটিরাঙ্গার জাহাঙ্গীর আলমকে খুঁজে বের করে তার হাতে চাল, ডাল, তেল, লবণ ও সাবানসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ইউএনও।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক দিন ধরে কাজ নেই। কাজ করলে খাবার জোটে, না করলে নেই। ঘরে জমানো নেই টাকা-পয়সা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সবার ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেও আমি পাইনি। নিরুপায় হয়েই ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছি। তবে খাদ্যসামগ্রী পাব বিশ্বাস করতে পারিনি।
Advertisement
একই সময়ে মুঠোফোনে পাওয়া এসএমএসে খাদ্য সঙ্কটের কথা জানতে পেরে মাটিরাঙ্গার নতুপাড়ায় বিধবা করফুলের নেছার বাড়িতে গিয়েও খাদ্য সহায়তা দেন ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ৩৩৩ থেকে ফোন পাওয়ার পর আমি নিজে বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর তাকে খাদ্য সহায়তা দেই।
তিনি বলেন, মাটিরাঙ্গার কর্মহীন অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এক ঘণ্টার মধ্যে কর্মহীন জাহাঙ্গীর আলমকে খুঁজে বের করে তার হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেই। এছাড়া আরও অনেকের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/এমকেএইচ
Advertisement