জাতীয়

অনুপস্থিত ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে নির্দেশ অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন দফতরের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) এই কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের কাছে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এই কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।

শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত এলাকার মধ্যে শিবচর ছিল অন্যতম।

Advertisement

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দফতর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় কর্মরত ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, তাদের উপজেলা কন্ট্রোলরুমে ও ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তাদের অনুপস্থিতির কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ শিবচর উপজেলার অন্যান্য সরকারি কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সকল অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এই অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

শিবচরে অনুপস্থিত থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, সাব-রেজিস্ট্রার মো. আ. মতিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সত্য রঞ্জন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম আসাদ, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক এমারত হোসেন ও সহকারী হিসাবরক্ষক অসীম বালা।

Advertisement

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে সরকার প্রাথমিকভাবে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দুই দফায় ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আরএমএম/এসএইচএস/পিআর