জাতীয়

ফাঁসির আগে খুনি মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ নাসিমের

ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ নাসিম এ অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহাবিপর্যয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনি পলাতক আব্দুল মালেকের গ্রেফতার একটি স্বস্তির সংবাদ বয়ে এনেছে দেশবাসীর জন্য। আমরাও আশ্বস্ত হয়েছি যে দীর্ঘ কয়েক যুগ পরে এই জঘন্য খুনিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

নাসিম বলেন, আমি মনে করি এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, এই খুনি জেলখানায় ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে হত্যায় অংশ নিয়েছিল। তাই এই খুনিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশ্বাস করি।

Advertisement

'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে এই খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কারণ এই খুনি বলতে পারবে সেদিন জেলখানায় হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিল, কারা দিয়েছিল? এর দায়িত্ব কাদের ছিল? জিজ্ঞাসাবাদে মধ্য দিয়ে অনেক কিছু উন্মোচন হবে।’

মাজেদের মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই কার্যকর হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে এ খুনিদের, নেপথ্যের খলনায়কদের বের করা দরকার। কারণ অনেক কিছু অজানা হয়ে আছে, অনেক কিছু অজানা হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, 'এর (মাজেদ) কাছে অনেক তথ্য জানা যাবে। কারা (অন্য পলাতক খুনিরা) এখন কোথায় পলাতক আছে, সে হয়তো তা বলতে পারবে।'

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো সরকারের কাছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে, আইনমন্ত্রীর কাছে- দণ্ড অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। এর পূর্বে যেন এ খুনির কাছ থেকে তথ্যগুলো বের করা হয়।’

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে পলাতক এই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ক্যাপ্টেন (অব.) মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এ আবেদন খারিজ করে দেন। তাই এখন যে কোনো সময় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে তার।

আরএমএম/এএইচ/পিআর