নওগাঁয় পরকীয়া প্রেমের টানে আলেয়া বেগম (৪৫) নামে তিন সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসসহ চার ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সাপাহার উপজেলায় গৌরীপুর সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলেয়া বেগমের স্বামীর নাম মোকসেদুল ইসলাম।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরীপুর গ্রামের মোকসেদুল ইসলাম সরকারের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসের আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আত্মীয়তার সম্পর্ক নিয়ে উভয় পরিবারে যাতায়াত হয়। এক পর্যায়ে আলেয়া বেগমের সঙ্গে আব্দুল কুদ্দুসের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় কলহ হতো।রোববার সন্ধায় আলেয়া বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বিয়ের উদ্দেশে প্রেমিক আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে অবস্থান নেন। আব্দুল কুদ্দুস বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় আলেয়া বেগম।স্বামী মোকসেদুল ইসলামকে তালাক দেয়ার জন্য স্থানীয় বিবাহ রেজিস্ট্রারকে ডেকে নিয়ে আসা হলে ওই নারীর সম্মতিতে তালাক নামা লেখা হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাতিজা ফারুক মাস্টারের সহযোগিতায় মোকসেদুল ইসলাম রাত সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে জোর করে আলেয়া বেগমকে বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে রাখে।আলেয়া বেগমকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সন্ধ্যার সময় তার বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে আটক রাখা হয়েছে। এমন অভিযোগে সোমবার বিকেলে সাপাহার থানার এএসআই বায়েজিদ হোসেন সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।এ ঘটনায় সোমবার রাতে কথিত প্রেমিক আব্দুল কুদ্দস, সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আটক সাইদুরকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করে।আব্বাস আলী/বিএ
Advertisement