আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ায় কোয়ারেন্টাইনে ৫ শতাধিক

উত্তর কোরিয়ায় ৭ শতাধিক মানুষকে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। অপরদিকে, দেশটিতে পাঁচ শতাধিক মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল এসব মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

তবে পিয়ংইয়ং এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সেখানে এখনও কারো শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েনি। শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে যে, দেশটিতে একজনও করোনা রোগী নেই।

যেখানে বিশ্বের ২০৯টি দেশেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে চীনের প্রতিবেশী এই দেশটিতে একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি এমনটা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার দাবি দেশটির দাবি চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, বাণিজ্য স্থগিত এবং প্রথম থেকেই ৩০ দিনের কোয়ারেন্টাইনের কারণেই তাদের দেশ করোনামুক্ত রয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন এটা অসম্ভব।

কারণ চীন থেকে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়লেও একেবারে সীমান্তে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ায় কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি এমন দাবি মানা যায় না। বিশেষজ্ঞদের দাবি উত্তর কোরিয়া হয়তো সত্য ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

এর আগে বেশ কিছু গণমাধ্যমের খবরে এসেছে যে, উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাবেক সিআইএ বিশেষজ্ঞ জুং এইচ পাক বলেন, উত্তর কোরিয়ায় একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি এটা অসম্ভব।

চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার চিত্র সবারই জানা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি ড. এডউইন সালভাদোর জানিয়েছেন, গত ২ এপ্রিল ৭০৯ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে।

Advertisement

এদের মধ্যে ১১ জন বিদেশি নাগরিক এবং ৬৯৮ জন উত্তর কোরিয়ার নাগরিক। তাদের কারো শরীরেই করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েনি। অপরদিকে, ৫০৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দু'জন বিদেশি নাগরিক এবং ৫০৭ জন উত্তর কোরিয়ার নাগরিক। এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮৪২ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৮০ জন বিদেশি নাগরিক।

টিটিএন/জেআইএম