জাতীয়

টেইলার্সেই বিক্রি হচ্ছে মাস্ক!

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর মাস্কের চাহিদা বেড় যাওয়ায় এখন টেইলার্সে বানানো হচ্ছে এটি। গেঞ্জি বানানোর কাপড়ে তৈরি এসব মাস্ক করোনাভাইরাস সুরক্ষায় তেমন কাজে না এলেও তুলনামূলক অল্প দাম ও হাতের কাছে পাওয়ায় অনেকে কিনছেনও। তবে বিশেষজ্ঞরা ভাইরাস ঠেকাতে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে পোশাক তৈরির বদলে মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে গেঞ্জি বানানোর কাপড় এনে তারা এসব মাস্ক বানাচ্ছেন। প্রতিটি বিক্রি করছেন ১০ টাকা করে। আর বাইরে অন্য মাস্ক এখন ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টেইলার্সের মাস্ক কেনা এসব ক্রেতার অধিকাংশই নিম্নআয়ের।

দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকার পানির পাম্প রোডে এমন একটি টেইলার্সে মাস্ক বানাতে দেখা গেছে। সেখানকার দর্জি মো. বাদল জানান, ‘এখন আর কেউ কাপড় বানাতে আসেন না। আমরা অলস বসে আছি। তাই চাহিদা থাকায় মাস্ক তৈরি করছি। প্রতিটি মাস্ক ১০ টাকা করে বিক্রি করি।’

খিলক্ষেত এলাকায় এমন একটি টেইলার্স থেকে মাস্ক কিনছিলেন রিকশাচালক মো. সাব্বির। তিনি বলেন, ‘মেইন রোডে মাস্ক পরে না গেলে পুলিশ মারে। কিন্তু এটা দিয়ে কাজ হয় কি না, জানি না। পরতে হবে তাই পরি।’

Advertisement

গত মাসের শেষে দিকে গণহারে মাস্ক না পরার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনাভাইরাস প্রকোপের শুরু থেকেই তাদের পরামর্শ ছিল আক্রান্ত আর তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি বাদে আর কারও মাস্ক পরার দরকার নেই। সেই অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিয়েছে সংস্থাটি। এখন তারা সবাইকে মাস্ক পরতে বলছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম জানান. ‘করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। টেইলার্স থেকে বানানো মাস্ক দিলে ধুলোবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অনেক রোগজীবানু থেকেও রক্ষা দেবে। কিন্তু সার্কিক্যাল মাস্ক ইজ বেস্ট।’

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।

এইচএস/জেডএ/জেআইএম

Advertisement