অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৪০ শতাংশই পুণরায় চালু করেছে চীন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই উহানে করোনার প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণে দেশজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ করে চীন।
করোনার বিস্তাররোধে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে এই করোনা বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন।
ইতোমধ্যেই উহান শহর থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে কড়াকড়িও তুলে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট আবারও চালু করা হয়েছে।
Advertisement
শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের অধিকাংশই দেশটির উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানেই অধিকাংশ অভিবাসী শ্রমিকরা থাকে এবং বাণিজ্যিক এলাকা অবস্থিত।
চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা বলছে, গত মার্চে প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার ৫৩৩ বেসামরিক বিমানের ফ্লাইট চালু ছিল। ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইটের সংখ্যা ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছিল।
এপ্রিলে ১ হাজার ৯৭০টি ফ্লাইটে ৫৯ হাজারের বেশি কর্মীকে তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। দেশটিতে সাম্প্রতি সময়ে বিদেশি নাগরিকরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
ফলে বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমেই আবারও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে এমন শঙ্কা থেকে বিদেশিদের চীন ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও কমিয়ে আনা হয়েছে।
Advertisement
চীনে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৮১ হাজার ৮৬৫ জন প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৩৩৫ জন। অপরদিকে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৭ হাজার ৩৭০ জন।
টিটিএন/এমএস