দেশজুড়ে

পথচারীদের মারধর করায় ক্ষমা চাইলেন সেই পৌর কাউন্সিলর

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন। করোনাভাইরাস রোধে মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে লাঠি হাতে রাস্তায় নামেন তিনি। এরপর পথচারীদের বেধড়ক মারধর করার পর সমালোচনার মুখে পড়েন। এতেই অনুতপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিরালা মোড়, পার্ক বাজার, ছয়আনি বাজার, ফলপট্টি, ভিক্টোরিয়া রোর্ড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথচারীদের লাঠিপেটা করেন পৌরসভার কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েন তিনি। তবে তার এ উদ্যোগের অনেকেই প্রশংসাও করেছেন।

শহরের মজনু মিয়া, মিন্টু খান, সাজ্জাদ জানান, জেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন আর পুলিশ প্রশাসন সচেতনতার জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালালেও টাঙ্গাইলের মানুষ করোনার ভয়াবহতাকে গুরুত্বই দিচ্ছিল না। প্রতিটি বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা থাকার পরও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল যত্রতত্র। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে কাউন্সিলর আমিনের এ উদ্যোগ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে তার এ উদ্যোগের ব্যাপক সমালোচনাও চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

এভাবে লাঠিপেটা করাটা ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করে কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন বলেন, এ ভাইরাসে টাঙ্গাইলেও একজন আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ অবস্থাতেও টাঙ্গাইলের মানুষ অপ্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করছিল। এ কারণে আবেগে তিনি রাস্তায় নেমে লাঠিপেটা করেছেন। এতে ব্যক্তি উদ্দেশ্য হাসিলের কিছু ছিল না। এতে আমি লজ্জিত ও মর্মাহত। এ ঘটনায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

Advertisement

তিনি বলেন, এরপরও আমি জনগণকে অনুরোধ করে বলছি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে আসবেন না। আপনাদের প্রয়োজনে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।

এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে কেউ আসেননি।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অতি আবেগি হয়ে আর টাঙ্গাইলবাসীর স্বার্থেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন কাউন্সিলর আমিন।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএএস/এমএস

Advertisement