করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে মারা যাওয়াদের মরদেহ দাফনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেক কবরস্থানে জ্বর, সর্দি কাশি আর শ্বাসকষ্টে মৃতের দাফন হবে না মর্মে সাইনবোর্ড টানানোর ছবিও দেখা গেছে। অনেক স্থানে দাফনে বাধা দেয়ার অভিযোগও মিলেছে।
Advertisement
জনমনে আতঙ্কের কারণে করোনা ভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য রোগে মারা যাওয়াদের কবর দেয়ার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে স্বজনদের।
এমন অবস্থায় করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির দাফনে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব নিতে চায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাথওয়ে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আইইডিসিআর।
সংগঠনের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দাফনের জটিলতা দেখেই ভাবনাটি মাথায় আসে।
Advertisement
পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দাফনে ভীতির পাশাপাশি বাধা সৃষ্টি করছেন স্থানীয়রা। অনেক জায়গায় টাকার বিনিময়ে অন্য রোগে আক্রান্তদের দাফন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাধা পাওয়ার পর পুলিশ কিংবা প্রশাসনের সহায়তা নিতে হচ্ছে দাফনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে।
এ সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে চায় পাথওয়ে। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে এ দায়িত্ব নিতে চাই সংস্থার ১৩ সদস্য। দেশের কোথাও করোনা আক্রান্ত হয়ে অথবা করোনা সন্দেহে কেউ মারা গেলে মৃতের কবর খনন এবং জানাজাসহ দাফনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত আমরা।
এ ক্ষেত্রে ইসলামিক যে রীতি সে অনুযায়ী দাফন কাফন করবো। আমাদের যথেষ্ট পিপিই আছে। নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই এই কাজটি আমরা করতে আগ্রহী। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বা দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার মতো মনে করেন তবে আমরা হারবো না, আমরা এ কাজ করবো। এজন্য দুটি গাড়ি তৈরি রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, দাফন কাজের জন্য গঠিত এ স্বেচ্ছাসেবী দলকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
Advertisement
আমরা যোগাযোগ করেছি, তিনি আমাদের বলেছেন, সঠিক প্রশিক্ষণের দরকার আছে। সঠিক নিরাপত্তা নিয়েই কাজটি করতে হবে। আমরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করেই কাজটি করতে চাই।
জেইউ/এএইচ/এমএস