করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে টেলিফোনে এ আশ্বাসের কথা জানান তিনি।
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে ফোন করেন ওয়াং ই। প্রায় ৪৫ মিনিটের আলাপে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নতুন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। বুধবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়াং ই ও ড. মোমেনের মধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ড. মোমেন ঢাকায় করোনা চিকিৎসার লক্ষ্যে বিশেষভাবে প্রস্তুত শেখ রাসেল গ্যাস্টো লিভার ইনস্টিটউট অ্যান্ড হাসপাতালের জন্য চীনা টেকনিশিয়ান ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তা চান। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনা মেডিকেল বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ও নার্সদের সহযোগিতা চান। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থতিতে ড. মোমেন আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য চীনে ব্যাক টু ব্যাক এলসি পরিশোধের অর্থ স্থগিতের অনুরোধও জানান। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়েও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. মোমেন তার চীনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত করার অনুরোধ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ বিষয়েও চীনা সহায়তার আশ্বাস দেন। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একে অপরের প্রতি সমর্থন র্ব্যক্ত করেন।
ওয়াং ই উহান শহরসহ চীনের বিভিন্ন অংশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটময় মুহূর্তে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
ড. মোমেনও বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট, চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের উপহার হিসেবে পাঠানোর জন্য চীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি জ্যাক মা ফাউন্ডেশন এবং আলিবাবা ফাউন্ডেশনের সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবকালে উহানসহ চীনের অন্যান্য অঞ্চলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রশংসা করেন। গত ৪ এপ্রিল চীনে পালিত জাতীয় শোক দিবসের প্রতি বাংলাদেশের সংহতি প্রকাশ করেন।
Advertisement
জেপি/এমএসএইচ/এমএস