দুই পবিত্র নগরী মক্কা এবং মদিনায়ও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। যার ফলে এ দুই শহরে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কারফিউ জারি রয়েছে। এরই মাঝে দুই পবিত্র মসজিদে প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইসি নিজে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে পবিত্র নগরী মদিনাদর মসজিদে নববিতে জীবাণুমুক্ত করণের কাজ করে যাচ্ছেন।
Advertisement
মদিনায় মসজিদে নববির রক্ষাবেক্ষণে তদারকির লক্ষ্যে কারফিউর মাঝেই তিনি ৬ এপ্রিল মদিনায় গমন করেন। মদিনায় গিয়ে তিনি মসজিদে নববির সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে পরামর্শ বৈঠক করেন। রমজানের প্রস্তুতিসহ চলমান প্রাণঘাতী মহামারি করোনায় নিরপত্তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মদিনার মসজিদে নববিতে নামাজের আগে শায়খ সুদাইসি ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত নসিহত পেশ করেন। তিনি বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা মানুষের নিরাপত্তার জন্য। আত্মরক্ষা এবং সতর্কতার জন্য একটু কষ্ট হলেও এসব মেনে চলার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, জামাআত ও জুমআয় সংক্ষিপ্ত ও স্বল্প পরিসরের এসব আয়োজন শরিয়তের বিধান মেনেই এসব বিধি-নিষেধ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
Advertisement
এরপর শায়খ সুদাইসি মদনিরার মসজিদে নববীর পরিচ্ছন্নকর্মীদের সঙ্গে মসজিদের পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নেন। মসজিদের নববির ভেতর এবং বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্তকরণের কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
তিনি মসজিদে নববির ভেতরে মেহরাবসহ রিয়াজুল জান্নাতের বিভিন্ন স্থানে জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রে করেন। মসজিদে নববির বাইরের চত্ত্বরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় ব্যবহৃত বিশেষ গাড়ি চালিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে কাজে অংশগ্রহণ করেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে গত মাসের শুরুর দিকে তিনি মসজিদে হারাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে উন্নত প্রযুক্তির স্প্রে মেশিন ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করণের কাজের উদ্বোধন করেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের করণে কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববি ছাড়া সৌদির সব মসিজদ বন্ধ রয়েছে। এ দুই পবিত্র মসজিদে সংক্ষিপ্ত সময়ে স্বল্প পরিসরে ইমাম, মুয়াজ্জিন, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে জামাআত ও জুমাআ।
Advertisement
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৯৫ জন। এতে মারা গেছেন ৪১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৬১৫ জন।
এমএমএস/জেআইএম