নতুন এক গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে ব্যাসিলাস ক্যালমেটে-গুয়েরিন (বিসিজি) বা যক্ষ্মার টিকা প্রদান কর্মসূচি ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে, ওইসব দেশে করোনায় (কোভিড-১৯) মৃত্যুহার সেসব দেশের তুলনায় ছয়গুণ কম, যেসব দেশ এই ভ্যাকসিন আ-দৌ নেয় না।
Advertisement
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
এক শতাব্দী আগে তৈরি হয় বিসিজি ভ্যাকসিন। গবেষণায় দেখা গেছে, যক্ষ্মা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে কার্যকর।
তবে গবেষকরা বলছেন, যক্ষ্মা নির্মূল বাদেও বিসিজি টিকা নেয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং এর অন্যান্য গুণও রয়েছে।
Advertisement
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অতীতে বিসিজি টিকা দিয়েছেন তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং দেহকে ইনফেকশন থেকে সুরক্ষিত রাখে।
উদাহরণস্বরূপ গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ন্যাটিভ আমেরিকানদের মধ্যে যারা শিশুকালে বিসিজি টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরকে ৬০ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিয়েছে এই শতাব্দী পুরোনো ভ্যাকসিন।
তবে সংক্রমণ থেকে এই টিকা কীভাবে শরীরকে বাঁচায় তা এখনও অজানা বিজ্ঞানীদের। তবে তারা মনে করেন, এই টিকা নেয়ার ফলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার এটাই হয়তো কারণ।
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হলে শ্বাসযন্ত্র সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, বিসিজি টিকা নেয়ার ফলে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের হারও কমে যায়।
Advertisement
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত করা হয় করোনাভাইরাস। এরপর বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ৮২ হাজার। আর সুস্থ হয়েছেন তিন লাখের বেশি।
এসআর/জেআইএম