চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নে ৯টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে আলম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
আশরাফুল আলম জানান, নগরীর পাহাড়তলী থানার শাপলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়স এক নারী সম্প্রতি শ্বাসকষ্টসহ জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। আজ তার নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত ওই বাড়িতে বসবাসরত ছয় পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা গিয়ে বাড়িটি লকডাউন করেছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার গ্রামের তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন।
Advertisement
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে আলম জাগো নিউজকে বলেন, নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় এই উপজেলার এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে। তার পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি গত ২০ মার্চ চট্টগ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। এ জন্য তার বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভোইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর রোগীর নিজের বাড়ি, আশপাশের আরও পাঁচটি বাড়ি, ওমরা ফেরত মেয়ের বাড়ি, তার শ্বশুরবাড়ি, তাদের দুই নিকট আত্মীয়র বাড়ি ও প্রতিবেশীর গ্রামের বাড়িসহ ১৪টি বাড়ি লকডাউন করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement