করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় সবাই যখন একে-অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন, তখন বিচারককে করোনা সংক্রমণের অভিশাপ দিলেন কলকাতার এক আইনজীবী।
Advertisement
রায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার অভিশাপ দিয়েছেন। এমন অসম্মানজনক আচরণের জন্য তর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন ওই বিচারপতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী বিজয় অধিকারী। তার বিরুদ্ধে আদালতের মর্যাদাহানি করা এবং এই পেশার লোক হিসেবে যথাযথ ব্যবহার না করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে এ আচরণের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ১৪ দিন সময় দিয়েছেন বিচারক। এই বিষয়ের শুনানি সংশ্লিষ্ট ডিভিশনে হবে।
গত ১৫ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে কেবল জরুরি মামলার শুনানিই হচ্ছে। আর শুনানি হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
Advertisement
আইনজীবী বিজয় অধিকারী চেয়েছিলেন, মক্কেলের একটি বাসের নিলামের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। প্রসঙ্গত, তার মক্কেল ঋণখেলাপি হওয়ার ওই বাসটির নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কটি। কিন্তু বাসটি যেহেতু ১৫ জানুয়ারি আটক করেছে ব্যাঙ্ক, তাই আদালত কোনো জরুরি শুনানিতে মত দেননি।
বিচারপতি যখন মামলার রায় শোনাচ্ছিলেন, তখনই মেজাজ হারান ওই আইনজীবী। তিনি বিচারপতিকে বাধা দিতে টেবিল চাপড়াতে থাকেন।
রায়ে বিচারপতি বলেন, ‘আইনজীবীকে সঠিক ব্যবহার করতে সতর্ক করা সত্ত্বেও, তিনি কানে নেননি। তাকে বলতে শোনা গেছে, আমার ভবিষ্যৎ তিনি (আইনজীবী) শেষ করে দেবেন এবং তিনি অভিশাপ দিয়েছেন, আমার যেন করোনা হয়।’
ওই আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাকে জানাতে চাই, আমি আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হওয়াকে ভয় পাই না। আদালতের মর্যাদা আমার কাছে সর্বোচ্চ এবং তা বজায় রাখতে আপনার বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
Advertisement
তবে বিচারপতির রায় শুনে অভিযুক্ত আইনজীবী থামেননি। বরং তিনি চিৎকার করতে থাকেন। বিচারপতি তাকে মনে করিয়ে দেন, তিনি এক মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত থেকেও কেন এমন আচরণ করছেন।
এমএসএইচ/এমএস