রাজধানীসহ সারাদেশে করানা ভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সর্বসাকুল্যে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বেড মাত্র ১১২টি। মোট আইসিইউ বেডের মধ্যে রাজধানীতে ৭৯ ও ঢাকার বাইরে ৩৩টি।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ (৭ এপ্রিল) হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪১ জনসহ বর্তমানে দেশে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৬৪। এছাড়া মোট মারা যাওয়ার রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সিংহভাগই সাধারণ ওষুধেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কিছুসংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তারা আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ধরনের রোগীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অধিকাংশেরই আইসিইউতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ইতিমধ্যেই যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই বয়স্ক এবং বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে ২৭, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ২৫ ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ১৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে।
এছাড়া উত্তরা ও মিরপুরে বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালে ছয়টি ও সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে পাঁচটি আইসিইউ বেড রয়েছে।
Advertisement
এছাড়া ঢাকার বাইরে মোট ৩৩টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬, সিলেট বিভাগে দুটি এবং খুলনা বিভাগে মাত্র পাঁচটি রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ অবশ্য বলছেন, তারা সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশকিছু আইসিইউ বেড স্থাপনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, করোনা রোগটি নতুন। এ কারণে আইসিইউ রোগীর দেখভালের জন্য প্রশিক্ষিত ডাক্তার ও নার্স টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। কিন্তু তারা যতদূর জানতে পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আইসিওতে অভিজ্ঞ নন এমন অনেক নার্সকে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ডেপুটেশনে আইসিইউতে ডিউটি করতে পাঠানো হচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকলে মরণাপন্ন রোগীরা হয়তো নামকাওয়াস্তে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন বলে গণ্য হলেও প্রকৃতপক্ষে সঠিক চিকিৎসা পাবেন না বলে মন্তব্য করেন তারা।
এমইউ/এএইচ/পিআর
Advertisement