জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।
গতকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে এই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ক্যাপ্টেন মাজেদ) বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ক্যাপ্টেন আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার পর বিচারিক আদালত এবং আপিল বিভাগ তাকে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডায়িত করেন।’
‘এখন ক্যাপ্টেন আবুল মাজেদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই এ রায় কার্যকর করা হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার কাছে প্রশ্ন এসেছে- আবদুল মাজেদ কারাগারে, তিনি সেখানে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারেন কি না? আবদুল মাজেদ ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডায়িত একজন আসামি। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে সলিটারি কনফাইন্ডমেন্টে রাখা হয়। আবদুল মাজেদ যেহেতু সলিটারি কনফাইন্ডমেন্টে থাকবেন, সেহেতু তিনি করোনাভাইরাসের কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করবেন না।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় মাজেদ অন্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমান সরকারের আশীর্বাদে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন এই খুনি। এরপর ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই তখন তিনি আত্মগোপন করেন।
Advertisement
আরএমএম/জেডএ/পিআর