সাতক্ষীরায় দুদিন ধরে সর্দি-কাশি হওয়ায় এক গৃহবধূকে (৩০) বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে প্রতিবেশীরা। সাত বছরের একমাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার (৭ এপ্রির) দুপুরে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন। পরে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই গৃহবধূ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
Advertisement
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মানস কুমার জানান, ওই গৃহবধূর দুদিন আগে সর্দি ও কাশি শুরু হয়। করোনা সন্দেহে আজ তার প্রতিবেশীরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তার স্বামী কক্সবাজারে চাকরি করেন বলে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন। সাত বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার।
ডা. মানস কুমার আরও জানান, দুপুরের দিকে ওই গৃহবধূ হাঁটতে হাঁটতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তার কাছে টাকাও ছিল না। এরপর তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীর সিমটম দেখে করোনা মনে হচ্ছে না। আবহাওয়াজনিত কারণে বা অন্য কারণে তার সর্দি-কাশি হতে পারে। তবুও আগামীকাল (বুধবার) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/পিআর