জাতীয়

করোনা : কৃষি উৎপাদন-বিপণন অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

Advertisement

সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে অধীন সব দফতর/সংস্থা প্রধানদের কাছে এই নির্দেশনার চিঠি পাঠানো হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় ২৬ মার্চ থেকে দেশে শুরু হয়েছে সাধারণ ছুটি, দুই দফা বেড়ে এখন এ ছুটি শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। ছুটিকালীন সময় সরকার সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রতিপালনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বসতবাড়ির আঙিনাসহ সব পতিত জমিতে শাকসবজি ফলমূল ও অন্যান্য ফসলের চাষ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সব কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার ইত্যাদি) এবং যন্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে ব্যবহৃত জ্বালানি/ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাসকরণ, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সেচ ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য স্থাপিত। প্রতি শুক্র ও শনিবার কৃষক বাজারে আগত কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চলাচল অব্যাহত থাকবে।

সকল কৃষি পণ্যবাহী যান চলাচল এ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জন নিশ্চিতে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপন, সেচসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীন দফতর/সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করুন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাসে নিজের এবং কৃষকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের সময়ে সময়ে জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করুন। কৃষকের সঙ্গে থাকুন, কৃষকের পাশে থাকুন।

আরএমএম/এএইচ/এমকেএইচ