মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে রয়েছে গোটা ভারত। যার ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএলও স্থগিত ১৫ তারিখ পর্যন্ত। যা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ থেকে।
Advertisement
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আইপিএল মাঠে গড়ানো দূরে থাক, ক্রিকেট নিয়ে ভাবাই যেন দুঃসাহসী কাজ। যা আপাতত করছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এখান-সেখান থেকে নানান পরামর্শ এলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় আইপিএল আয়োজকরা।
তবে টুর্নামেন্টটির ব্যাপারে এমন স্থবিরতা মানতেই পারছেন না ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। তার মতে, করোনার কারণে যে সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি হয়েছে এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তাই আইপিএলের মতো একটি টুর্নামেন্টের জন্য লজ্জার বিষয়।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা এ মারকুটে ব্যাটসম্যানের মতো রাজস্ব আয়ের বড় একটা খাত হলো আইপিএল। ফলে দ্রুত এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। হয়তো একেবারে বাতিল করে দেয়া উচিৎ, না হয় টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করা উচিৎ বলে মনে করেন বাটলার।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মানদণ্ডে আইপিএল অনেক বড়, অনেক উঁচুতে। আইপিএলে যে রাজস্ব আয়টা জড়িত, সেটাও তো অনেক বেশি। ক্রিকেটের জন্যও এটা অনেক বড় টুর্নামেন্ট। এটা সত্যিই লজ্জার বিষয় যে, এটি সামনে এগুচ্ছে না কিংবা কেউ বলতেও পারছে না কবে এটি মাঠে নামানো যাবে।’
তবে মুদ্রার অন্য পিঠটাও মানতে চান বাটলার। তিনি আরও বলেন, ‘আইপিএল হবে কি হবে না, তা কেউই বলতে পারছে না। বর্তমান অবস্থায় এটা অনেকটা অনিশ্চিত যে কতদিন এই সমস্যা (কোভিড-১৯) থাকবে। তাই এখনই ঠিক করা যাচ্ছে না, আইপিএল আদৌ হবে কি হবে না।’
এরই মধ্যে অন্তত তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে টুর্নামেন্ট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আরও পিছিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এমনটা হলে অনেক বিদেশি খেলোয়াড়কে পাওয়া যাবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাটলার।
তিনি বলেন, ‘(টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেলে) বিদেশি খেলোয়াড়দের অনেককেই হয়তো পাওয়া যাবে না। কারণ জাতীয় দলের খেলাও থাকবে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই এসব নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’
Advertisement
এসএএস/এমকেএইচ