ফিচার

করোনা: শিশুর প্রতি খেয়াল রাখবেন যেভাবে

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে এটি মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে সব বয়সী মানুষেরই মানসিক অবস্থার অবনমন ঘটছে।

Advertisement

ঠিক তেমনিভাবে শিশুরও মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। যা শিশুর জন্য খুবই মারাত্মক। এ সময়ে শিশুর প্রতি খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক-

১. মহামারী বা দুর্দশার সময়ে শিশুর দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। সে বিভিন্নভাবে পারিপার্শি্বক অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হয়। ফলে তাদের মধ্যে উদ্বিগ্নতা, অতিরিক্ত রাগ, পরিবারের সদস্যদের থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখা, সারাক্ষণ নিশ্চুপ থাকা ইত্যাদি প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে আপনার শিশুর প্রতিক্রিয়াগুলোকে সহজভাবে নিয়ে তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং যথাসম্ভব বেশি বেশি আদর করুন। তার দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিন। যাতে সহজেই সে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে।

২. কঠিন সময়গুলোতে শিশুদের প্রচুর সময় দিন এবং ভালোবাসুন। নরমভাবে কথা বলুন এবং তাদের পুনরায় নিশ্চিত করুন যে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। যদি সম্ভব হয় শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন।

Advertisement

৩. আপনার শিশুকে সবসময় আপনার কাছে রাখুন। কখনোই পরিবার থেকে আলাদা রাখবেন না।যদি আলাদা রাখতে হয় (হাসপাতালে থাকলে), তাহলে তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

৪. প্রতিদিন রুটিন মাফিক খেলাধুলা, পড়াশোনা বা বিনোদনের ব্যবস্থা করুন।

৫. বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করুন। কিভাবে তারা এ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের করণীয় সম্পর্কে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করুন। দরকার হলে নিজে করে দেখান।

 

৬. শিশুদের মানসিক অবস্থা ভালো রাখতে সব সময় তৎপর থাকুন। কেননা যেকোনো শিশুর মানসিক অবস্থার অবনতি জীবনে ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। তাই মহামারীর সময়ে নিজেরা সচেতন থাকুন। শিশুদের দিকেও বাড়তি মনোযোগ দিন।

Advertisement

মনে রাখবেন, শিশুরা যেন মানসিক চাপমুক্ত ও সুস্থ জীবন-যাপন করতে পারে। সচেতনতাই আমাদের প্রধান হাতিয়ার।

লেখক: মো. বিল্লাল হোসেন, শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

এসইউ/পিআর