শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। গত ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলার ৩৪ পরিবারের ১৮৯ জনকে লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলার হাটবাজার লকডাউন করা হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) লকডাউনে থাকা ৩৪ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়। ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, পাঁচ কেজি আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তাদের ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়। লকডাউন থাকা পর্যন্ত পরিবারগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।
এছাড়া নড়িয়া ও সখিপুর থানার এক হাজার ঘরবন্দি কর্মহীন পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। ত্রাণ সহায়তার আওতায় সখিপুর এলাকার ১০০ পরিবারের প্রতি পরিবারকে ঢেউটিন ও প্রত্যেককে ছয় হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলার চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য দুই হাজার মাস্ক, দুই হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও ২০০ পিপিই সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদের কাছে হস্তান্তর করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
Advertisement
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা বুঝি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট। তাইতো এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও কষ্ট না হয় সেজন্য এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এবং করোনা দুর্যোগে ঘরবন্দি কর্মহীন অসহায় মানুষগুলোর জন্য আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করা।
মো. ছগির হোসেন/এএম/পিআর