ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রতি মৌসুমেই গড়পড়তা ১০-১৫ জন করে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারকে দেখা যায় বিভিন্ন দলে। বিদেশি খেলোয়াড়ের যে ৪ জনের কোটা, তা পূরণে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাই বেশি প্রাধান্য পায় আইপিএলের দলগুলোর কাছে।
Advertisement
আর এ সুযোগটা যেন হাতছাড়া না হয়, তাই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বা অন্যান্য ক্রিকেটারদের স্লেজিং করে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা- এমন গুরুতর অভিযোগই এনেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।
ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সে সিরিজে কোহলি তথা ভারতীয় খেলোয়াড়দের ব্যাপারে ভয়ে ছিল অসি ক্রিকেটাররা- এমনটাই মনে করছেন ক্লার্ক। এর পেছনে অর্থনৈতিক কারণটাকেই বড় করে দেখছেন এ সাবেক অধিনায়ক।
মঙ্গলবার সকালে এক টিভি অনুষ্ঠানে ক্লার্ক বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, অর্থগত দিক থেকে ক্রিকেটে ভারতের ক্ষমতা কত বেশি। আন্তর্জাতিকভাবে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে আইপিএলের মাধ্যমেও। আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এমনকি মাঝে মাঝে সব দলই বিপরীতে যেতে গিয়ে ভারতের সঙ্গে আরও জড়িয়ে পড়েছে।’
Advertisement
২০১৯ সালের আইপিএল নিলামে অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিনসকে সাড়ে ১৫ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছিল কলকাতা। এছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল পৌনে ১১ কোটি, নাথান কাউল্টার নাইল ৮ কোটি, মার্কস স্টয়নিস প্রায় ৫ কোটি, অ্যারন ফিঞ্চ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা এমন চড়ামূল্যেই বিক্রি হয়েছিলেন।
ক্লার্ক মনে করেন এসব চুক্তির কারণেই ভারতীয় খেলোয়াড়দের স্লেজিং করে না অস্ট্রেলিয়ানরা। তিনি বলেন, ‘তারা বিরাট কোহলি কিংবা অন্য ভারতীয়দের স্লেজিং করতে ভয় পায়, কারণ এপ্রিলে আইপিএল খেলতে হবে। সব দলই একটা তালিকা বানায় অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের এবং নিলামের সময় তাদের জন্যই বিড করে।’
আরও যোগ করেন, ‘এক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের মনোভাবটা এমন হয় যে, ‘আমি কোহলিকে ক্ষেপাব না। আমি চাই সে যেন আমাকে ব্যাঙ্গালোরে নেয় এবং আমি ছয় সপ্তাহে ১০ লাখ ডলার পেয়ে যাই।’ আমার মনে হয়, এই জায়গায় এসে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের যে দৃঢ়তা, তা বেশ নরম হয়ে যায়।’
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement