দুর্নীতির কারণে ছয় বছরের জন্য সবধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ রয়েছেন ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ফেডারেশনকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার, এমনকি বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া।
Advertisement
সেই তদন্তে এবার বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য। শুধু ফিফা প্রেসিডেন্টই নয়, বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার দায়িত্ব পেতে বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশনে ঘুষ আদানপ্রদান করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত তদন্তে আনা হয়েছে এই অভিযোগ।
দীর্ঘমেয়াদি তদন্তের অংশ হিসেবে নিউইয়র্কের ফেডেরাল প্রসিকিউটরদের দেয়া তথ্য মোতাবেক, জানা গেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি ঘিরে রয়েছে দুর্নীতির কালো থাবা। এমনকি ফিফার কার্যনিবাহী পরিষদের কয়েকজন সদস্যও জড়িত ছিলেন ঘুষের আদানপ্রদানে।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সাবেক সভাপতি রিকার্ডো টেক্সেইরা, লাতিন আমেরিকান ফুটবলের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকলাস লিউজ এবং তাদের একজন সহযোগী চক্রান্তকারীকে ঘুষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। যা তারা গ্রহণ করে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে কাতারের পক্ষে ভোট নিশ্চিত করেছে।
Advertisement
এছাড়া ফিফার সাবেক সহ-সভাপতি এবং কনকাকাফের সাবেক সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নারের বিপক্ষে অভিযোগ আনা হয়েছে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে রাশিয়াকে ভোট দেয়ার জন্য। এর বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন ৫০ লাখ ডলার।
গুয়েতামালা ফুটবলের সাবেক প্রধান রাফায়েল সালগুয়েরো স্বীকারই করে নিয়েছেন যে, ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের টিভি রাইটসের ক্ষেত্রেও ঘুষের আদানপ্রদান হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে তদন্তে।
সোমবার ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক কোর্টে এই অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, ঘুষ দেয়ার কাজটা করতেন সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য হার্নান লোপেজ এবং কার্লোস মার্টিনেজ। দায়েরকৃত অভিযোগ নামায় লোপেজ এবং মার্টিনেজকে কনমেবলের কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
এফবিআইয়ের নিউইয়র্ক শাখার সহকারী পরিচালক উইলিয়াম সুইনি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনৈতিক লাভ এবং ঘুষের আদান প্রদানের বিষয়টা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। অনেক বছর ধরে চক্রান্তকারীরা এই খেলাটিকে কলুষিত করে চলেছে। এমন সব প্রস্তাব দেয় তারা, যা খুবই লোভনীয়।’
Advertisement
এসএএস/জেআইএম