প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা খুব দুঃখজনক মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছে, চিকিৎসা পায়নি। চিকিৎসকরা কেন চিকিৎসা দেবে না, এটা খুব দুঃখজনক।
Advertisement
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে একজন যে কোনোভাবে আক্রান্ত হয়। সে যখন চিকিৎসা করতে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে বেড়ায়, কোনো ডাক্তার পায়নি চিকিৎসার জন্য। এটা সত্যি খুব কষ্টকর এবং দুঃখজনক। ডাক্তারেরা কেন চিকিৎসা করবে না? তারপরও আমি বলব আমাদের প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে একটা স্থবিরতা এসে গেছে অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে সব ক্ষেত্রেই। তার ফলে আমরা অর্থনৈতিক যে একটা গতিশীলতা সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম তা থেমে গেছে। শুধু আমাদের দেশে না সারা বিশ্বব্যাপী।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল এবং নানা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছিল। কোটি কোটি মানুষ মারা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমরা সেই একই অবস্থা দেখি। দেখা যায় যে ১৭২০, ১৮২০, ১৯২০, এখন ২০২০ একটার পর একটা ধাক্কা এসে যাচ্ছে। যাহোক এ অবস্থা থেকে আমাদের মানুষের জানমাল রক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের বাঙালিরা অনেক দেশে মারা যাচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩ জন। যারা মারা গেছেন এদের বেশিরভাগই বয়স্ক এবং নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তবে আমাদের সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটা বেশি, এটা আমাদের জন্য একটা ভালো খবর।
তিনি বলেন, আমরা চাই না প্রাদুর্ভাবটা আমাদের বৃদ্ধি পাক। আমরা চাই এটাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। একটা মেনে চলার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সকলকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
Advertisement
এমএএস/এসএইচএস/জেআইএম