দেশজুড়ে

টু ইন ওয়ান হাসি

নীলফামারীতে সবুজা আক্তার নামের এক নারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরির পাশাপাশি একটি কলেজে ইংরেজি প্রভাষক পদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ায় এ নিয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানা যায় ওই উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের সোয়াত আলীর মেয়ে সবুজা আক্তার। তিনি ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে উপজেলার ২১ নম্বর মৌলভীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করে আসছেন। এর পাশাপাশি তিনি ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কিশোরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ইংরেজির প্রভাষক পদে যোগদান করে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ কলেজের প্রভাষক পদে চাকরি পাওয়ার পর সবুজা আক্তার স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার খুঁটির জোরে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকারি অংশের ও কলেজ অংশের বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। অভিযোগ মতে, কলেজে চাকরি পাওয়ার পর সবুজা আক্তার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও এক প্রভাবশালী নেতার খুঁটির জোরে তাকে উপস্থিত দেখিয়ে বেতন-ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মৌলভীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাফী জাগো নিউজকে জানান, তার স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সবুজা আকতার কলেজে যোগদানের পর থেকে স্কুলে নিয়মিত আসেন না। বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।এদিকে কিশোরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে জানান, কলেজের ইংরেজি বিষয়ে প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সবুজা আক্তার আবেদন করেছিলেন। নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি প্রথম হওয়ায় তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিনি নিয়োগের পর থেকে কলেজে  নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে সবুজা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে কোনো মতামত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/পিআর

Advertisement